বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা হচ্ছে খালেদা জিয়াকে
কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার এক্সরেসহ রক্ত পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। এ জন্য তাকে শনিবার কোনো এক সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেয়া হবে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা জরুরি বলে জানায় তার জন্য গঠিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেয়ার সিন্ধান্ত হয়। শুক্রবার কারাগারে গিয়ে খালেদা জিয়া সাথে দেখা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সাক্ষাত শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। তার হাঁটুর সমস্যা বেড়ে গেছে। চলতে-ফিরতে কষ্ট হয়। কিছু স্নায়ুবিক সমস্যা আছে। তার জন্য যেমন চিকিৎসা দরকার তা তিনি পাচ্ছেন না। খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে আনার খবরে রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কারাগার, পুরান ঢাকা, আলিয়া মাদ্রাসা চত্বরসহ আশপাশের এলাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা নেয়া ব্যবস্থা হয়েছে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
এই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার বিএনপির সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। সেই সঙ্গে খালেদা তারেকসহ দণ্ডিত সবাইকে মোট ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা জরিমানা করা হয়। এই রায়ের পরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।
বিচারিক আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল ও জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। আদালত তাকে চার মাসের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন দিলেও অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোয় তিনি মুক্তি পাননি।