fbpx

পদ্মভূষণ নিলেন ধোনি

উত্তেজনায় কাঁপছে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম।

তৎকালীন ভারতের অধিনায়কের ব্যাট থেকে বেরিয়ে এলো এক বিশাল ছক্কা। রাতের আকাশ ফুঁড়ে বলটা তখন উড়ে যাচ্ছে গ্যালারির দিকে। অত্যাশ্চর্য গ্যালারির পাখির চোখ যেন সেই বল। শব্দ বিস্ফোরণে তোলপাড় চারিদিক। উইকেট তুলে দৌড়াচ্ছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। আনন্দে আত্মহারা যুবরাজ সিংও। ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে তখন মাঠে নেমে এসেছে গোটা ভারতীয় ড্রেসিংরুম। আনন্দে কেঁদে ফেলেছেন সেরাদের সেরা শচীন টেন্ডুলকার।

৭ বছর আগে ২ এপ্রিলের এই স্মৃতি এখনও যেন টাটকা ক্রিকেট প্রেমীদের স্মৃতিতে।৭ বছর আগে যে ওয়াংখেড়েতে ধোনির প্রবেশ ঘটেছিল অধিনায়ক হিসেবে, সেই ধোনি ৭ বছর পর একই দিনে দেশটির সর্বোচ্চ নাগরিকের চৌহদ্দিতে প্রবেশ করলেন সেনার বেশে। নাম ঘোষণা হতেই আস্তে আস্তে এগিয়ে চললেন বীর সেনানি ধোনি। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে স্যালুট ঠুকে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লেন। আর রাষ্ট্রপতি ততক্ষণে ধোনির বুকে লাগিয়ে দিয়েছেন দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পদ্মভূষণের ব্যাজ।

হাতে তুলে দিয়েছেন মানপত্র।২০১১ সালে বিশ্বকাপ হাতে তুলে নিয়ে অন্য এক যাত্রা শুরু হয়েছিল ধোনির। ঠিক তার ৭ বছর পরে ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল যেন সেই চলার বৃত্তটা সম্পূর্ণ করলেন বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক অধিনায়ক। এদিন যখন রাষ্ট্রপতি ভবনে ধোনি প্রবেশ করেন তখন তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী সাক্ষী সিং। হলুদ শাড়িতে রীতিমতো পীতাম্বরি ধোনি-র অর্ধাঙ্গিনী। দর্শকাসনে বসে একবার স্ত্রীকে আড়চোখে দেখেও নেন ধোনি।ভারতের সাবেক অধিনায়কের হাতে পদ্মভূষণ সম্মান তুলে দেবার এই ছবি মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

বিসিসিআই এইদিন বিশ্বকাপ জয়ের বর্ষপূর্তির স্মরণে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করে। ধোনির পদ্মভূষণ সম্মান নেবার ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ।এদিন ধোনির সঙ্গে আরও ৪৩ জনের হাতে দেশটির বিভিন্ন নাগরিক সম্মান তুলে দেয়া হয়। স্নুকারে বিশ্বের বিস্ময় পঙ্কজ আদভানির হাতে রাষ্ট্রপতি তুলে দেন পদ্মভূষণ সম্মান।চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি এবারের পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ এবং পদ্মশ্রী সম্মান প্রাপকদের নাম ঘোষিত হয়েছিল। এম এস ধোনি এর আগে ২০০৭ সালে দেশের সর্বোচ্চ ক্রীড়া সম্মান ‘রাজীব খেলরত্ন’-এ ভূষিত হয়েছেন। ২০০৯ সালে পেয়েছিলেন পদ্মশ্রী সম্মান। এই সম্মান প্রাপ্তির ৯ বছরের মাথায় ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত হলেন মাহি।

সুত্র-বিসিসিআই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *