ওরিয়েন্টাল
ব্যাংকের ৫ কর্মকর্তাকে ৬৮ বছর কারাদণ্ড
ঋণ জালিয়াতির পৃথক ৪ মামলায় ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের সাবেক ৫ কর্মকর্তার ৬৮ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকার ৫ নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের প্রধান শাখার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মো. হারুণ, সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট আবুল কাশেম মাহমুদ উল্লাহ, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ হোসেন, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরুল ইসলাম ও ফজলুর রহমান।
এদের প্রত্যেককে এক মামলায় ১৭ বছর করে চার মামলায় ৬৮ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সকল আসমিরা পলাতক রয়েছেন। অন্যদিকে ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের সাবেক উপ পরিচালক মো. ইমামুল হকের বিরুদ্ধেই আনীত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাকে বেকুসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
এছাড়াও মেসার্স আফাজ উদ্দিন ট্রেডার্সের মালিক মো. সালাহ উদ্দিন ও মেসার্স নূর অ্যান্ড সন্সের মালিক তরিকুল ইসলামকে পৃথক দুটি মামলায় ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় ৫ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও ১ কোটি টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অপর দুটি মামলায় দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় ৬ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও ১ কোটি টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এ জরিমানার টাকা বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অন্য আরেকটি দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় প্রত্যেককে ৭ বছর করে কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও জরিমানা অনাদায়ে ১ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুদকের সহকারি পরিচালক আবদুল লতিফ ও সৈয়দ আহমদ বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় এ মামলাগুলো দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে নাম সর্বস্ব ভুয়া ৪টি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আনোয়ারা ইলেকট্রনিক্স, মেসার্স ইভান টেল, মেসার্স আফাজ উদ্দিন ট্রেডার্স ও মেসার্স নূর অ্যান্ড সন্সের নামে ১ কোটি টাকা করে ৪ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করে তা পরস্পর যোগসাজসে আত্মসাৎ করে।