fbpx

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের তির ছুড়ছে

খুলনার সিটি করপোরশেনর স্থানীয় নির্বাচনটি আর স্থানীয় থাকছে না। এটি রূপ নিয়েছে জাতীয় নির্বাচনের প্রাকমহড়া হিসেবে।

গাজীপুরে ১৫ মে ভোট বন্ধ হওয়ার পর পুরো দেশের দৃষ্টি এখন খুলনার দিকে। নির্বাচন নিয়ে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের তির ছুড়ছে। বিএনপির আশঙ্কা ভোট ডাকাতি হতে পারে।

আওয়ামী লীগের ভয়, বিএনপির বহিরাগত সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাস করতে পারে। এরই মধ্যে গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত শেষ মুহূর্তের প্রচারণা চালিয়েছেন আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক ও বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জুর।

খুলনার নির্বাচনে মেয়র পদে এবার পাঁচজন প্রার্থী। আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক নৌকা এবং বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুজ্জাম্মিল হক হাতপাখা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মিজানুর রহমান বাবু কাস্তে এবং জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুর রহমান লাঙল প্রতীকে মেয়র প্রতীকে লড়বেন।

বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এবারের নির্বাচন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি পরীক্ষা হলেও ইতিমধ্যেই তারা ফেল করেছে। ভোট নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকলেও সরকারের ভোট ডাকাতির নির্বাচনের আয়োজনে সবকিছুই ভেস্তে যেতে বসেছে। এ ক্ষেত্রে পুলিশের ‘অতি উৎসাহী ভূমিকা এবং নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ততার’ সমালোচনা করেন তিনি।

বিভিন্ন এলাকায় ভোট ডাকাতির আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে মন্তব্য করে মঞ্জু বলেন, এরই মধ্যে চরমপন্থী-সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেল মহড়া দিচ্ছে। তিনি সব কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে সব জায়গাতেই সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান।

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সব ধরনের নাশকতা এড়াতে আজ রোববার দুপুর থেকে ১৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি সদস্যরা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে।খুলনায় আজ মধ্যরাত থেকে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার বন্ধ হয়ে যাবে। নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ব্যস্ত শেষ মুহূর্তের প্রচারে। ভোটারদের কাছে আরজি জানাচ্ছেন ভোটের জন্য। তবে ভোটারদের ভেতরও একধরনের আশঙ্কা রয়েছে। দলীয় কর্মীরা মন খুলে ভোটের প্রচারে থাকলেও সাধারণ ভোটাররা যেন অনেকটাই সতর্ক।

কেউই ভোটের বিষয়ে মুখ খুলতে চান না। তবে প্রথম আলোর কাছে অনেকেই বলেছেন, ভোটকেন্দ্র যাওয়ার মতো সুষ্ঠু পরিবেশ থাকলে তাঁরা ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। তবে কোনো ঝুঁকি দেখলে ভোটকেন্দ্র যাবেন না। খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১৪৮ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৫ জন নারী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন।

এবারের নির্বাচনে ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। ভোট হবে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে। দুটি ওয়ার্ডের দুটি ভোটকেন্দ্রে ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। সেখানে মেয়র প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক এবং সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীকে বোতাম চেপে ইভিএমে ভোট দেবেন ভোটাররা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *