fbpx

‘৭ দিনে দাবি বাস্তবায়নের শর্ত, শিক্ষার্থীকে আটকে রাখার খবর গুজব’

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি বাস্তবায়নে সরকারকে সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে। একইসঙ্গে ৭৩ ঘণ্টার মধ্যে (তিন দিন) প্রজ্ঞাপন জারি করার শর্তও দিয়েছে।

৪ আগস্ট শনিবার দিনভর বিক্ষোভ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কয়েকজন আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর কার্যালয় ঘুরে এসে এই ঘোষণা দেয়।

ওই কার্যালয়ে শিক্ষার্থীকে আটকে রাখার খবরটি গুজব ছিল বলেও জানান তারা। ধানমন্ডি এলাকার এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে একপর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে একজন ছাত্রকে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আটকে মারধর করা হচ্ছে এবং কয়েকজন ছাত্রীকে আটকে রাখা হয়েছে। পরে কয়েকজন ছাত্র কার্যালয় ঘুরে এসে জানান, ভেতরে কেউ নেই। আটকে রাখার খবর ছিল মিথ্যা। এই খবর শুনেই তারা ক্ষুব্ধ ছিলেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একজন আইডিয়াল কলেজ, ধানমন্ডি শাখার ছাত্র আশিকুর রহমান তুর্য। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিপক্ষেও না, আওয়ামী লীগের বিপক্ষেও না। আমরা আমাদের ৯টি দাবির জন্য গিয়েছি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নিয়েছেন এবং প্রসেস চলছে।’

এ সময় আন্দোলনরত অপর শিক্ষার্থী বলেন, ‘চারটা মেয়েকে রেপ করা হয়েছে এবং ছেলেদের পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে মারা হয়েছে তা গুজব। আমরা ভেতরে গিয়ে নিজ চোখে দেখে আসছি। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘দুইটা ছেলে এসে আমাদের বলেছে যে চারটা মেয়েকে ধরে নিয়ে গেছে। এই কথা শুনে আমরা কনফিউজড হয়ে যাই।’

তবে আজকের এই হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানান তারা।

শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে জিগাতলায় সাত মসজিদ রোডে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠি হাতে হামলা চালায় একদল যুবক। এ সময় শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়লেও পরে একত্রিত হলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

কিছুক্ষণ পর আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থীকে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে—এমন কথা ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তখন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের দিকে যায়। এ খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে থাকা কর্মীরা তাদের ধাওয়া দেয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাবি করেছিলেন, তারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করছিলেন। একপর্যায়ে হঠাৎ করেই লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ওপর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালায়। ওই সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটানো হয়।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, শিক্ষার্থীরা তাদের কার্যালয়ে হামলার উদ্দেশে গিয়েছিল। এ কারণে তাদের বাধা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থীকে আওয়ামী লীগের কর্মীরা মারধর করেনি।

এ ঘটনায় দুপুর থেকেই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছিল। বিকেলে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

https://currentbdnews24.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *