fbpx

স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ

১০৪ বছর বয়সী বিজ্ঞানী বেছে নিয়েছেন স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ

বিজ্ঞানী বেছে নিয়েছেন স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ

অনলাইন ডেস্কঃ অস্ট্রেলীয় বিজ্ঞানী ডেভিড গুডাল নিজের স্বেচ্ছামৃত্যু কার্যকর করতে সুইজারল্যান্ডে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১০২ বছর বয়সে বিশ্ববিদ্যালয় তাকে চাকরীচ্যুত করার চেষ্টা করলে আলোচনায় এসেছিলেন এই প্রবীণ বিজ্ঞানী। স্বেচ্ছামৃত্যু কার্যকর করতে মে মাসে ডেভিড গুডালের সুইজারল্যান্ড যাওয়ার কথা জানাজানি হওয়ায়, স্বেচ্ছামৃত্যু নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। যুক্তরাজ্যের সংবাদসংস্থা গার্ডিয়ান লিখেছে, বয়সের কারণে স্বাস্থ্য ভেঙে পড়লেও গুডালের তেমন কোনও গুরুতর অসুখ নেই। তারপরও স্বেচ্ছামৃত্যুতে সহায়তা করে এমন একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি জরুরিভিত্তিতে সেবা নেওয়ার জন্য চুক্তি করেছেন।

গত মাসে থাকা তার জন্মদিনে অস্ট্রেলিয়ার এবিসি টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডেভিড গুডাল বলেছিলেন, ‘এতো বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকায় আমার খুবই অনুতাপ হয়। আমি সুখী নই। আমি মরতে চাই। সেটা দুঃখজনক না। দুঃখজনক হবে যখন কাউকে মরতে বাধা দেওয়া হবে। আমি মনে করি, আমার মতো বৃদ্ধ মানুষের স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকারসহ অন্যান্য সব নাগরিক অধিকার থাকা উচিত।’

একজিট ইন্টারন্যাশনালঃ

গুডালকে স্বেচ্ছামৃত্যুতে সহায়তাকারী ‘একজিট ইন্টারন্যাশনাল’ নামক যে সংস্থাটি সম্প্রতি তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, সম্মানের সঙ্গে মৃত্যুবরণ করতে গুডালের মতো একজন বর্ষীয়াণ ও সম্মানিত নাগরিককে অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে আধা দুনিয়া পাড়ি দিয়ে অন্য দেশে যেতে হচ্ছে, যা অবিচার। একটি শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনক মৃত্যু পাওয়ার অধিকার সবারই থাকা উচিত। এর জন্য ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য করা উচিত না।

ডেভিড গুডাল পার্থের এডিথ কোওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০০৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকার ক্ষেত্রে তাকে ‘আনফিট’ ঘোষণা করে। বিশ্ব জুড়ে বিজ্ঞানীদের প্রতিবাদের মুখে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছিল। গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ডেভিড গুডাল কয়েক ডজন গবেষণা প্রবন্ধ লিখেছেন এবং কিছু দিন আগ পর্যন্তও বাস্তুবিদ্যা সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকাশনা সম্পাদনা করতেন।

স্বেচ্ছামৃত্যু বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই নিষিদ্ধ। অস্ট্রেলিয়াতেও তা নিষিদ্ধ ছিল। তবে গত বছর দেশটির ভিক্টোরিয়া রাজ্যে স্বেচ্ছামৃত্যুর আইনি বৈধতা দেওয়া হয়েছে, যা ২০১৯ সালের জুন মাস থেকে কার্যকর হবে। কিন্তু ভিক্টোরিয়ার ওই আইনে শুধুমাত্র চরম মাত্রায় অসুস্থ এমন ব্যক্তিকে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে যার বাঁচার সম্ভাবনা ৬ মাসেরও কম।

অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য রাজ্যে স্বেচ্ছামৃত্যুর পক্ষে আইন পাস নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইন পাস করানো যায়নি। প্রস্তাব ভোটে হেরে গেছে। সর্বশেষ নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে গত বছর একই ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া ‘নর্দার্ন টেরিটোরিতে’ (যা রাজ্য নয়) ১৯৯৫ সালে স্বেচ্ছামৃত্যুর পক্ষে আইন করা হয়েছিল কিন্তু কমনওয়েলথ সরকার ১৯৯৭ সালে আইনটি বাতিল করে দেয়।

https://currentbdnews24.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *