fbpx

‘পদ্মশ্রী’

রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘পদ্মশ্রী’

থাকছে সুভাষিণী মিস্ত্রির জীবনসংগ্রাম ও মানবতার সেবার নানা কথা

বয়স তাঁর এখন ৮০ ছুঁই ছুঁই। এই আত্মবিশ্বাসী নারী পেয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘পদ্মশ্রী’।

বিনা চিকিৎসায় সেই ১৯৭১ সালে স্বামী সাধন চন্দ্র মিস্ত্রির অকাল মৃত্যুকে মেনে নিতে পারেননি পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ কলকাতার হাঁসখালির সুভাষিণী মিস্ত্রি। স্বামীর মৃত্যুর পর চার নাবালক সন্তানকে নিয়ে শুরু হয় তাঁর জীবনসংগ্রাম। দুই শিশুপুত্র ও দুই শিশুকন্যাকে অনাথ আশ্রমে রেখে জীবনসংগ্রামে অবতীর্ণ হন। বয়স তাঁর এখন ৮০ ছুঁই ছুঁই।

বাঁচার জন্য পরের বাড়ির ঝি-গিরি থেকে চায়ের দোকানে কাজ, ঢালাইয়ের কাজ, ছাদ পেটানোর কাজ, ধাপায় কয়লা কুড়ানোর কাজ, মাছের ভেড়িতে পানা পরিষ্কার করার কাজ, জমিতে চারা বসানোর কাজ, ধান চাষ—আরও কত কী করেছেন তিনি! শেষ পর্যন্ত সবজি বিক্রির কাজ বেছে নেন। খুলে যায় তাঁর চলার পথের দরজা। খুঁজে পান জীবনের স্বাদ। বাঁচার পথ। সেই হাঁসপুকুর থেকে কলকাতার পার্ক সার্কাসের ৪ নম্বর ব্রিজের কাছে চৌবাগায় অস্থায়ী জায়গায় সবজি বেচে শুরু করেন জীবনসংগ্রাম। তারপর ধীরে ধীরে অর্থ জোগাড় করে হাঁসখালিতেই জায়গা কিনে গড়ে তোলেন একটি হাসপাতাল। নাম হিউম্যানিটি হাসপাতাল। এরপর গড়েন আরেকটি হাসপাতাল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের শান্তিগাছিতে।

এই আত্মবিশ্বাসী জীবনসংগ্রামী নারী জীবনসায়াহ্নে এসে পেয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘পদ্মশ্রী’। এ বছর ২৬ জানুয়ারি ভারত সরকার প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে ঘোষণা করে তা।

সেই সুভাষিণী মিস্ত্রির জীবনসংগ্রাম ও মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগের নানা কথা নিয়ে এবার একটি তথ্যচিত্র বানাচ্ছেন ভারতের বাংলা ছবির অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক দেবের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। তথ্যচিত্রের নাম ‘পদ্মশ্রী সুভাষিণী মিস্ত্রি’। গত বৃহস্পতিবার কলকাতায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান নায়ক দেব। তিনি বলেন, এই মহীয়সী নারীর জীবনসংগ্রামের কথা সবার জানা উচিত। তাই তিনি এই তথ্যচিত্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। ছবিটি পরিচালনা করবেন অনিকেত চট্টোপাধ্যায়। এ বছর বড়দিনে ছবিটি মুক্তি পাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *