সিডনিতে স্বাধীনতা দিবস
মেলায় প্রবাসী দর্শকদের বাঁধ ভাঙা জোয়ার
সিডনিতে স্বাধীনতা দিবস মেলায় প্রবাসী দর্শকদের বাঁধ ভাঙা জোয়ার
হঠাৎকরে রোববার সিডনির তাপমাত্রা বেড়ে গেলো। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সিডনির কিছু কিছু শহরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী ছাড়িয়ে গেলো।
সন্ধ্যা নাগাদ যখন তাপমাত্রা কমতে শুরু করলো তখন বাংলাদেশিদের প্রিয় লাকেম্বা শহর ঘেসে ওয়ালী পার্ক গ্রাউন্ডে তাপমাত্রা সিডনির সর্বোচ্ছ।
প্রিয় স্বাধীনতা দিবস মেলা উদযাপন করতে এই সময় কয়েক হাজার প্রবাসী একত্রিত হয়েছে। দেশি গান, দেশি খাবার আর স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে জিয়া ফোরাম অস্ট্রেলিয়া আয়োজন করলো এই মেলার।
সাবেক অভিবাসন মিন্ত্রী ও ফেডারেল এমপি টনি বার্ক এই মেলার শুভ উদ্বোধন করেন।
কিংস জর্জ রোড এবং কান্টারবুরি রোডের সাথে লাগোয়া এই ওয়ালী পার্ক সন্ধ্যা নাগাদ এক টুকরো বাংলাদেশে পরিনিত হয়েছে।
একটা মুহূর্তে গিয়ে আয়োজকদের হিমশিম খেতে হয়েছে দর্শকদের সামাল দিতে। এ যেন এক বাঁধ ভাঙা জোয়ার।
সিডনির বিভিন্ন শহর থেকে এই প্রজন্মের শিশু কিশোর এসেছেন পরিবারের সাথে নিজ দেশের ইতিহাস এবং কালচার জানতে।
মেলা আয়োজকদের পক্ষে ডক্টর হুময়া রানা বলেন, দর্শকদের এমন উচ্ছাস দেখে আমি আনন্দে আত্মহারা। কারণ অনেক কষ্ট করে এই মেলা দাঁড় করেছি।
তিনি আরও বলেন, আজকের এই স্বাধীনতা মেলা আগামী প্রজন্মর কাছে আমাদের দেশের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করবে। ফারজানা মাহবুব নামে এক দর্শক এসেছেন নিউক্যাসেল থেকে। তিনি বলেন, আমি আমার ছেলে-মেয়ে নিয়ে এসেছি, সিডনি থাকে আমার শশুর এবং শাশুড়ি।
মেলা এসে দেখি উনারা বিকেল থেকে এখানে এসেছেন বলতে পারেন এটা নবীন প্রবীণ সমন্বয়ে এক আনন্দ উৎসব। যদিও আয়োজকদের পক্ষ থেকে কোনো পার্কিং এর ডিরেকশন তাই একটু কষ্ট হয়েছে।
মেলার অন্যতম সমন্বয়ক
মেলার অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ হোসেন, সোহেল ইকবাল, লেলিন আহমেদ এবং আশরাফুল রনি সর্বদা ব্যস্ত ছিলেন দর্শকদের দেখাশুনার কাজে।
আয়োজকদের পক্ষে আরিফ হোসেন আমাদের বলেন, আমি দীর্ঘ দিন প্রবাসে থাকি, অনেকগুলো সংগঠনের সাথে জড়িত কিন্তু অস্ট্রেলিয়া এই জিয়া ফোরাম একমাত্র সংগঠন আমরা স্বাধীনতা দিবস মেলা আয়োজন করে প্রথমেই সফল হয়েছি।
তিনি বলেন, আপনাদের সকলের সহযোগিতা ফেলে আগামী দিনে আরো বড় পরিসরে আয়োজন করবো। স্থানীয় শিল্পীদের প্রবেশনা ছাড়াও ছিল বাংলাদেশিদের ব্ল্যাক ডায়মন্ড হিসাবে পরিচিত বেবি নাজনীন এর একক কনসার্ট।
বেবি নাজনীন স্টেজ উঠার পরে শুরু হয় তারুণ্যের উচ্ছাস। নবীন, প্রবীণ, শিশু বাদ যায়নি কেউ এই উচ্ছাসে তাল মিলাতে।
বাদ্য যন্ত্র আর কোকিল কণ্ঠ বেবি নাজিন এর গানের সাথে পুরো মিলাতে শুরু হয় ডান্স।
এই যেন এক অন্যরকম পরিবেশ। দেশাত্ববোদক গান দিয়ে শুরু করে মরার কোকিলে গান গুলো দিয়ে মধ্যে রাত পর্যন্ত দর্শকদের ধরে রাখেন।
মেলা কমিটির সকল মেম্বার স্টেজ এসে অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণা করেন।