fbpx

শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে অবশেষে সুসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস

রাজধানীসহ সারা দেশে গত দুই সপ্তাহ ধরে চলমান শৈত্যপ্রবাহ আরও ২-৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর বিক্ষিপ্তভাবে দু একটি জায়গা ছাড়া দেশের অন্য কোথাও শৈত্যপ্র্রবাহ থাকবে না। সে হিসেবে আগামী বুধবারের (১৭ জানুয়ারি) পর শৈত্যপ্রবাহের কবল থেকে সারা দেশের মানুষের মুক্তি মিলবে।

গত ৩ জানুয়ারি থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। অঞ্চলভেদে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া অধিদফতরের তাপমাত্রার হিসাব অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮-১০ডিগ্রি সেলসিয়াম পর্যন্ত মৃদু, ৬-৮ ডিগ্রি মাঝারি এবং ৬ ডিগ্রির নিচে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।

১৯৪৮ সাল থেকে আবহাওয়া অধিদফতরে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড রাখা হচ্ছে। সর্বশেষ ১৯৬৮ সালে সিলেটের শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গত ৭ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় ৭০ বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে নামে।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মিজানুর রহমান জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আবহাওয়ার পূ্র্বাভাস অনুযায়ী গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীসহ সারা দেশে শৈত্যপ্রবাহের যে ব্যাপকতা দেখা দিয়েছে আগামী ২-৩ দিন পর থেকে সেই ব্যাপকতা আর থাকবে না।

রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দিনের বেলা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বিরাজমান শৈত্যপ্রবাহ পরিস্থিতি দেশের আরও কিছু এলাকা থেকে কমতে পারে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সিলেটে ২৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন যশোরে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সূর্যোদয় ৬টা ৪৪ মিনিট ও সূর্যাস্ত ৫টা ৩৩ মিনিটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *