fbpx

এবার জন্মদিন উৎযাপন করেননি শবনম ফারিয়া

জন্মদিনের খরচ দান ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে

এবার জন্মদিন উৎযাপন করেননি শবনম ফারিয়া

ঢাকার মিরপুর ১২ নম্বরের পল্লবীর ইলিয়াস মোল্লা বস্তিতে গত রোববার দিবাগত রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে পুড়ে গেছে প্রায় হাজার পাঁচেক ঘর, সেই সঙ্গে অসংখ্য মানুষের সঞ্চয় আর স্বপ্ন। সেই আগুন নেভানোর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর বাংলাদেশের মানুষের জন্য আসে আরও এক দুঃসংবাদ। গত সোমবার দুপুরে ঢাকা থেকে নেপালগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ কাঠমান্ডুতে অবতরণের আগে বিধ্বস্ত হয়। এই উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫১ জন। এই দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের এ পরিস্থিতিতে নিজের জন্মদিন উদ্‌যাপন করার সব উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন ছোট পর্দার তারকা শবনম ফারিয়া। ১৪ মার্চ ছিল তাঁর জন্মদিন। এবার জন্মদিনের পার্টির খরচের জন্য যে টাকা রেখেছিলেন, তা তিনি মিরপুরে পুড়ে যাওয়া বস্তিবাসীর মধ্য থেকে কয়েকটি পরিবারকে দান করার ঘোষণা দিয়েছেন।

জন্মদিনে শবনম ফারিয়া ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘এবার জন্মদিনটি আমার জন্য এমনিতেই একটু আলাদা। বাবাকে ছাড়া এটি আমার প্রথম জন্মদিন। আমি ছিলাম তাঁর আদরের ছোট মেয়ে। বাবা বেঁচে থাকতে প্রতিবছর ধুমধাম করে আমার জন্মদিন পালন করা হতো।’ এবার হয়তো জন্মদিনে অতটা জাঁকজমক থাকত না। কিন্তু ফারিয়ার মা ঠিক করেছিলেন, অন্য বছরের মতো এবারও বাসায় আত্মীয় আর ফারিয়ার বন্ধুদের দাওয়াত করবেন। শেষ মুহূর্তে দেশের এমন শোকাবহ পরিস্থিতিতে ফারিয়া জন্মদিন উদ্‌যাপন না করে সেই অর্থ ঘর পুড়ে যাওয়া ব্যক্তিদের দান করার সিদ্ধান্ত নেন।

গতকাল বুধবার শবনম ফারিয়া তাঁর স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘জীবনে এই প্রথম আমি নিজের জন্মদিন ‘‘উদ্‌যাপন’’ করতে পারলাম না। কিছু ঘটনা আমার হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে! আমি জানি জীবন অনিশ্চিত, কিন্তু এটি আমাকে ভীষণভাবে আঘাত করেছে! তবে হ্যাঁ, আমাকে বলতেই হবে, আমি খুব ভাগ্যবতী। মানুষের প্রচুর আশীর্বাদ আর নিঃস্বার্থ ভালোবাসা পেয়েছি! তাই যাঁরা আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, আমার জন্য দোয়া করেছেন আর বাসায় কেক আর উপহার পাঠিয়েছেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ। আমার বিষণ্ন দিনটিকে বিশেষ করে তোলার জন্য ধন্যবাদ।’

শবনম ফারিয়া বলেন, ‘জন্মদিন উদ্‌যাপনের জন্য আমি যে টাকা রেখেছিলাম, সেটি মিরপুরের বস্তিতে আগুনে ঘর পুড়ে যাওয়া ভুক্তভোগী কয়েকটি পরিবারকে দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাঁদের কষ্ট সহ্য করতে পারছি না। সবাইকে সাহায্য করার সামর্থ্য আমার নেই। অন্তত কয়েকটি পরিবারকে তো পারব, সেটাই চেষ্টা করছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *