যে মানুষটি আপনার জন্য এতকিছু করে কিন্তু, আপনি তার জন্য কি করেন ?
…………………………… আপনি তার জন্য কি করেন ? ……………………………
নিজের পাঁচ বছরের ছোট্ট মেয়েটির হাতে দুটি আপেল দেখতে পেয়ে মেয়েটির বাবা দুষ্টুমি করে বললো “মা,আমাকে একটি আপেল দাও”।মেয়েটি সাথে সাথে বাবার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলো এবং আড়ালে গিয়ে দুটি আপেলে কামড় বসিয়ে দিলো।বাবা খুব হতাস হলেন তার আপন মেয়েটি তাকে একটু ভালোবাসেনি।একটুপর মেয়েটি দৌঁড়ে এসে বললো বাব বাবা,তুমি এই আপেলটি খাও,এটা খুব মিষ্টি।ওটা খেয়ো না,ঐটা খুব টক”।
বাবা অবাক হয়ে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে রইলেন। আদরে চুমু দিয়ে মেয়েটিকে বুকে টেনে নিলেন।
সব মানুষের ভালোবাসার ধরণ একরকম না।একেকজন একেকভাবে তার প্রিয়জনকে ভালোবাসে।
একটা মানুষ আপনি খেয়েছেন কিনা খবর নিবে প্রতিদিন।
না খেলে তার কারণ জানতে চাইবে বার বার।
আপনি ঔষধ না খেলে আপনাকে বকা দিয়ে দিয়ে ঔষধ খাওয়াবে।ঔষধ মিস করবেন না বলে শপথ করাবে।আসলে মানুষটি চায় আপনি সবসময় সুস্থ থাকেন।
আপনার কলেজের এসাইনমেন্ট,ক্লাসটেষ্টের খাতা,প্রাইভেটে আপনার উপস্থিতি প্রতিদিন চেক করবে।মানুষটি শুধু চায় আপনি পরীক্ষায় একটা ভালো রেজাল্ট করুন।এর বেশী কিছু চাই না।
নামাজ তারাবীহ পড়ার জন্য বকা-ঝকা করবে,তাহাজ্জুদ পড়ার তাগিদ দিবে প্রতিদিন।
বাহিরে বের হওয়ার আগে আপনার প্রিয় নীল শার্টটি ইস্ত্রী করে রাখবে।জুতা জোড়া যত্ন করে মুছে রাখবে।আপনার শার্ট ইন করা,টাই লাগানো ঠিক হয়েছে কিনা বার বার চেক করবে।এত কিছু কেনো করে জানেন??
মানুষটি শুধু চায় তার প্রিয়জন সবার থেকে আলাদাভাবে ফুটে উঠুক।তার প্রিয়জন হবে স্মার্ট,হ্যান্ডসাম এবং সুদর্শন।
আপনি বাহির থেকে বাসায় ফিরতে একটু দেরী হলে মানুষটা কল দিতে দিতে অস্থির হয়ে যাবে।
আপনি হতাসাগ্রস্থ হলে মানুষটি আপনাকে সাহস যোগাবে,মুঠোফোনে বিজয়ের অনেক গল্প শুনাবে,আপনাকে কোনভাবে জীবন যুদ্ধে হারতে দিতে চাইবে না।
যে মানুষটি আপনার জন্য এতকিছু করে দিনশেষে আপনি তার জন্য কি করেন??
আপনি চান আপনার প্রিয়জন আপনাকে আপনার নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী নিজের মত করে ভালোবাসবে।
কিন্তু ওপারের মানুষটা চাই সে নিজের মত করে আপনাকে সব ভালোবাসা উজাড় করে দিতে।
দুজনের অনলাইনে আজ সবুজ বাতিটা জ্বলছে।
ইগো প্রবলেম নিয়ে আপনি তাকে ম্যাসেজ করছেন না,অথচ অপর প্রান্তে মানুষটি শুধু একটা ম্যাসেজের আশায় অধীর অপেক্ষায় নিউজ ফিডে ঘুরাঘুরি করছে।আপনি তাকে ইগনোর করছেন বার বার,অথচ মানুষটি আপনাকে ভালোবাসতে বাসতে ক্লান্ত হয়ে চোখের পাতা মুচছে।স্যত্যি এই ভালোবাসাগুলোকে
যত্ন করে ভালোবেসে বুকে আগলে রাখা উচিত।
সে প্রচন্ড মেজাজী হলেও আপনাকে তার নিজের চেয়ে বেশি ভালোবাসে।খবর নিয়ে দেখুন আপনাকে কষ্ট দিয়ে সে নিজেও আড়ালে কাঁধে।প্রিয়মানুষটাকে একটু তার নিজের মত ভালোবাসতে সুযোগ দিন।দেখবেন অন্তত দুইশত বছর সে আপনাকে ছেড়ে যাবে না।
সব মান-অভিমান,ইগো ভুলে একদিন সকালে ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে বলে দেখুন “চল পাগল,আমরা আগের মত আবার একে অন্যের পাগল-পাগলী হয়ে যায়”।
এ আর এস