fbpx

অাবারও শিরোপা জিতল মাশরাফি

লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে জিতলেই চ্যাম্পিয়ন—এমন সমীকরণ নিয়ে আগে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল আবাহনী। ৬ উইকেটে ৩৭৪ রানের পাহাড় দাঁড় করানোর পরই কী দলটির শিরোপা জয় মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল? না, রূপগঞ্জ এত সহজে হাল ছাড়েনি। হাতে ৪ উইকেট রেখে শেষ ১০ ওভারে ১০৩ রান দরকার ছিল দলটির। কিন্তু ৪৩তম ওভারে ৩ উইকেট হারানোর পর ম্যাচের আর কিছু থাকে!
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর শিরোপা জয়ের উল্লাসটুকুই শুধু বাকি থাকে। ৪২.৪ ওভারেই রূপগঞ্জ ২৮০ রানে গুটিয়ে যাওয়ায় ৯৪ রানের এই জয়ে নিজেদের রেকর্ড আরও এক ধাপ বাড়িয়ে নিল আবাহনী। ঢাকার শীর্ষ লিগ ক্রিকেটে এটা তাঁদের ১৯তম শিরোপা।
রানের পাহাড়ে উঠতে গিয়ে রূপগঞ্জের শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম ওভারেই আবদুল মজিদকে হারায় তাঁরা। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম (৭০) ও মুশফিকুর রহিমের (৬৭) ফিফটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল দলটি। শেষ ১০ ওভারে ১০৩ রানের দূরত্বে পিছিয়ে থাকতে ৪২তম ওভারে মোশাররফ হোসেনকে হারায় রূপগঞ্জ। তাঁকে তুলে নেন আবাহনী পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা। হাতে ৩ উইকেট রেখে রূপগঞ্জ তখন জয় থেকে ৪৮ বলে ৯৫ বলের দূরত্বে।
কিন্তু সানজামুল ইসলামের করা পরের ওভারেই নেই ৩ উইকেট! ৭৬ রানে এক প্রান্ত ধরে রাখা নাঈম ইসলামকে প্রথম বলে ফেরানোর পর তৃতীয় ও চতুর্থ বলে আরও দুই উইকেট নেন সানজামুল। কে জানে রূপগঞ্জের উইকেট থাকলে হয়তো হ্যাটট্রিকও পেতে পারতেন!
তার আগে অধিনায়ক নাসির হোসেন ও নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে রান পাহাড়ে ওঠে আবাহনী। ১২৯ রান করেন নাসির, নাজমুলের ব্যাট থেকে এসেছে ১১৩ রানের ইনিংস। শেষ ম্যাচে এসে সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া নাসিরই ম্যাচসেরা।
ব্যাটিং-বোলিংয়ে এবার শুধুই আবাহনীর শ্রেষ্ঠত্ব। ১৬ ম্যাচে ৪ সেঞ্চুরি সহ ৭৪৯ রান করে শীর্ষ রানসংগ্রাহক নাজমুল হোসেন শান্ত। তাঁর সমানসংখ্যক ম্যাচে ৩৯ উইকেট নিয়ে শীর্ষ বোলার আবাহনী পেসার মাশরাফি। ২০১০-১১ মৌসুমের পর আবারও প্রিমিয়ার লিগ শিরোপার দেখা পেলেন দেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *