fbpx

পোশাক কারখানা বন্ধের সুপারিশ বিজিএমইএ’র

করোনাভাইরাসের কারণে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক মালিকদের কারখানা বন্ধের বিষয়টি বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এক বার্তায় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন এবং সবার সুরক্ষা ও সুস্থতার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছেন।

বাংলাদেশের এ খাতটিতে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক নিযুক্ত রয়েছে, যার বেশিরভাগ নারী। তারা কারখানায় একে অপরের নিকটবর্তী হয়ে কাজ করেন। করোনভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সম্ভাব্যভাবে এ খাতকে এক বিপর্যয়কর আঘাত করতে পারে। এটি বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের বৃহত্তম উৎস।

‘প্রধানমন্ত্রীকে অনুসরণ করে আমাদের একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা উচিত, কারণ আমরা দেশের বৃহত্তম শিল্প। আমরা আশা করি আপনি যথাসময়ে কারখানা বন্ধ করার বিষয়টি বিবেচনা করবেন,’ তিনি যোগ করেন।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, যে কারখানাগুলো ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) তৈরি করতে চায় তারা খোলা রাখতে পারেন এবং তাদের শ্রমিকরা চলাচল করতে পারেন।

রুবানা হক বলেন, কেউ যদি কারখানা খোলা রাখতে চায় তাদের শ্রমিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে এবং শ্রমিকদের দায়িত্ব নিতে হবে।

চীনের পরে তৈরি পোশাক শিল্পে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় রপ্তানিকারক দেশ।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে তৈরি পোশাক শিল্পে অস্থিরতা দেখা দেয়ায় এবং অনেকে অর্ডার বাতিল এবং চালানে বিলম্বিত করার প্রেক্ষাপটে বিজিএমইএ সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছে।

এখন পর্যন্ত ৯৫৯ কারখানায় ৮২৬ দশমিক ৪২ মিলিয়ন পিস রপ্তানি বাতিল হয়েছে। এতে আনুমানিক সাড়ে ১৯ লাখ শ্রমিকের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার কোভিড-১৯ এর প্রভাব কাটিয়ে উঠতে রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। এ অর্থ কেবলমাত্র শ্রমিক ও কর্মচারীদের বেতন এবং মজুরি প্রদানের জন্য ব্যবহার করা হবে।

সূত্র : ইউএনবি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *