fbpx

পুলিশের আইজিপি ‘হচ্ছেন’ জাবেদ পাটোয়ারী!

পুলিশের পরবর্তী মহাপরিদর্শক (আইজি) হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন সংস্থাটির বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত আইজি ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি এখন সরকার প্রধানের আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

যদিও নাম প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ সদরদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হচ্ছেন না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ‘জাবেদ পাটোয়ারির বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষা আছে, তবে এটি এখনো চূড়ান্ত করে আমাদের জানানো হয়নি। এটি সরকারের শীর্ষপর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়।’

সরকারি চাকরি করে রাজনৈতিক বিশ্বাস বা মতামত প্রকাশের সুযোগ নেই। তারপরও পুলিশের প্রধান পদগুলোতে ছাত্রজীবনে বা পারিবারিকভাবে সরকারের রাজনৈতিক বিশ্বাসের বিরোধী মতাদর্শের কাউকে নিয়োগ দেয়া হয় না। আর সরকারের শেষ বছরে বিরোধী দলের সম্ভাব্য আন্দোলন বা বিশৃঙ্খলা মোকাবেলার বিষয়টি যখন সামনে এসেছে, তখন আরও বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে। আর সবকিছু ভেবেচিন্তেই নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা।

বর্তমান আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক আগামী ৩১ জানুয়ারি অবসরে যাবেন। তার স্থলাভিষিক্ত হবেন জাবেদ পাটোয়ারি। আর শহীদুল হককে রাষ্ট্রপতির কোটায় সচিব করা হতে পারে বলে প্রচার আছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী জাবেদ পাটোয়ারী বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন ১৯৮৬ সালে।

১৯৮৪ ব্যাচের এই কর্মকর্তা চাকরিতে দক্ষতা ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে বর্তমানে পুলিশের সর্বোচ্চ পদের এক ধাপ নিচে অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক পদে কর্মরত। তার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আস্থা রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর কার‌্যালয়ের একটি সূত্র। তার চাকরির মেয়াদ রয়েছে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত।

জাবেদ পাটোয়ারী
জাবেদ পাটোয়ারী

২০১৩ সালে সচিব পদমর্যাদায় গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি পান পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান জাবেদ পাটোয়ারী। পুলিশ প্রশাসনে স্বচ্ছ ইমেজের কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিতি রয়েছে তার।

বর্তমান আইজিপি কে এম শহীদুল হক ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুলিশ-প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান।প্রধা

১৯৮৪ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এ কে এম শহীদুল হক ১৯৮৬ সালে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। পরে তিনি চাঁদপুর, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম ও সিরাজগঞ্জ জেলায় পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এরপর চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শহীদুল হক। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ছাড়াও তিনি বাহিনীর নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সুত্র : ঢাকাটাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *