fbpx

নিজেকে অনুপ্রাণিত করুন

আব্দুর রাজ্জাক সুইটঃ কীভাবে নিজেকে অনুপ্রাণিত করা যায়
অনুপ্রেরণা বনাম অভ্যাস

অনুপ্রেরণা আজ একরকম, কাল আরেক রকম। আপনি যদি অভ্যাস তৈরি করতে পারেন তাহলে ব্যায়াম থেকে শুরু করে প্রতিদিন যেকোনো কাজই করতে পারবেন। প্রতিদিন যদি অনুপ্রেরণার জোরে ভোর পাঁচটায় ওঠার পরিকল্পনা করেন, তাহলে কোনো কোনো দিন নাও ঘুম ভাঙতে পারে। ভোরের একটু বৃষ্টি আর বিছানার ওম ছেড়ে ওঠা কি এত সহজ? উল্টো দিকে আপনি যদি অভ্যাস আর নিয়মে অনুরক্ত হন তাহলে রোদ-বৃষ্টি-শীত কোনো কিছুই আপনাকে সকালে উঠতে আটকাতে পারবে না।

পরিবেশ বদলে ফেলুন

একই পরিবেশে সব সময় থাকতে থাকতে অজান্তেই নিজেকে বিষাদের চক্রে আটকে ফেলি। নিজেকে অনুপ্রাণিত করতে দীর্ঘদিন ধরে একই পরিবেশে না থেকে চারপাশে নতুন কিছু তৈরি করুন। নিজের ঘরটিকে ভিন্নভাবে গুছিয়ে নিন। অফিসের কাজের টেবিলকে একটু এদিক-সেদিক করে নিজের চারপাশে নতুন পরিবেশ তৈরি করুন। নতুন পরিবেশে আমাদের মস্তিষ্কে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করে। আগ্রহ আর মনের জোর বাড়াতে পরিবেশ বদলে নিন।

পোশাকে মনোযোগ দিন

মনের দুর্বলতা আর বিষণ্নতাকে প্রভাবিত করে আমরা কি পরছি তার ওপর। কোন রঙের পোশাক পরছি, কোন ধরনের পোশাকে নিজেকে আয়নার সামনে দেখি তা আমাদের অবচেতন মনের ওপর প্রভাব ফেলে। নিজেকে সামাজিক কোনো অবস্থানে ছোট মনে হলে পোশাক পরিবর্তন করুন। আপনাকে যে পোশাকে আত্মবিশ্বাসী মনে হয়, তাই পরে নিজের মনের জোর বাড়ান।

অনুপ্রেরণার গল্প থেকে শিক্ষা নিন

অন্যদের সাফল্যের গল্প থেকে নিজের জন্য শিক্ষা খুঁজে নিন। অন্যদের ব্যর্থতা থেকে নিজের জন্য কী শিক্ষা হতে পারে, তা ভাবার চেষ্টা করুন। গল্পের পেছনের মূল ভাবনা কীভাবে আপনাকে সামনে এগিয়ে নিতে পারে, তা নিয়ে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়ানোর চেষ্টা করুন।

ছোট ছোট লক্ষ্যে এগিয়ে যান

এক দিনে ২০ মাইল দৌড়ানো কি সম্ভব? হুট করেই এক দিন এমন দীর্ঘ পথ দৌড়ানো যেমন অসম্ভব, তেমনি এক দিনে হাজার পৃষ্ঠার উপন্যাস লেখাও অসম্ভব। আপনি যদি প্রতিদিন ২০ মিনিট করে লেখা বা দৌড়ানোর অভ্যাস করেন, তাহলে একদিন ২০ মাইল ছাপিয়ে যেতে পারেন। ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করে প্রতিদিন একটু একটু করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

সময়কে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন

হয়তো ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ভোর ছয়টা বাজলে অ্যালার্মের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করছেন। উল্টোভাবে চিন্তা করে নিজেকে বদলে ফেলার চেষ্টা করুন। রাতে এমন সময় ঘুমান যেন ভোর ছয়টায় আপনার এমনিতেই ঘুম ভেঙে যায়। সময়কে নিজের জন্য আয়ত্ত করতে শিখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *