দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অনিদিষ্টকালের ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন ও ক্ষতিগ্রস্ত ২০ গ্রামের সমন্বয় কমিটি।
রোববার (১৩ মে) সকাল থেকে কাজ বন্ধ করে শ্রমিক সংগঠন দু’টির নেতা-কর্মীরা এ কর্মসূচি পালন করছেন। দুপুরে খনির মূল গেট থেকে সংগঠন দু’টির নেতা-কর্মীরা যৌথভাবে বিক্ষোভ-মিছিল বের করেন। মিছিলটি খনি এলাকায় প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মূল গেটের সামনে এসে শেষ হয়।
পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন- বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম (রবি), সাধারণ সম্পাদক মো. আবু সুফিয়ান, সাবেক সভাপতি মো. ওয়াজেদ আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নূর ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লিটন হোসেন, ক্ষতিগ্রস্ত ২০ গ্রামের সমন্বয় কমিটির মো. মিজানুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য মো. জাবেদ, মুক্তিযোদ্ধা মো. নূরুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, আমাদের দাবি ন্যায় সঙ্গত।
কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি মেনে না নেওয়ায় বাধ্য হয়েই ধর্মঘট কর্মসূচি দিতে হয়েছে। তারা যতোদিন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের ১৩ দফা ও ক্ষতিগ্রস্ত ২০ গ্রামের সমন্বয় কমিটির ৬ দফা দাবি মেনে না নেবেন ততোদিন কোনো শ্রমিক কাজে যোগ দেবেন না এবং ঘরেও ফিরে যাবেন না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভূ-গর্ভে কাজ করেন শ্রকিমরা। এতে অনেক শ্রমিক আহত ও নিহত হয়েছেন। তাদের পরিবারকে আমরা কিছু দিতে পারিনি।
এবিষয়ে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার আন্দোলনকারীদের বলেছেন, বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়েজউল্লাহ দেশের বাহিরে রয়েছেন।
তিনি দেশে ফিরলেই শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বসে তাদের দাবির বিষয়ে আলোচনা করবেন। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের উদ্দেশে প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন বলেন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান দেশের বাহিরে আছেন। তিনি দেশে ফিরলে শ্রমিকদের দাবিগুলো তুলে ধরা হবে। ইতোমধ্যেই আন্দোলনের বিষয় জানিয়ে