fbpx

তোমার নাম নিলা না হয়ে লিলা হলে ভাল হতো …..

তোমার নাম নিলা না হয়ে লিলা হলে ভাল হতো

অফিসের কিছু কাজ ছিল সেটাই করতেছিলাম।এমন সময় নিলার ডাক পরলো। আমি তার ডাকে সারা দিলাম।

–কিছু বলবে?
–বাবু চা বানাই?
অফিসের কাজ বন্ধ করে তার দিকে তাকালাম।সে চা বানাবে, আজ সূর্য কোন দিকে উঠছে। বিয়ের পর থেকে আমাকেই চা বানাতে হচ্ছে আজ নাকি সে বানাবে।
“ডাল মে কুস কালা হ্যা”
কি হলো কিছু বলছো না কেন?
–আচ্ছা ভালোভাবে বানাও।
–আদা দেই?
–আচ্ছা কম দিও।
–গোলমরিচ দেই আরো ভালো হবে?
–কলমটাকে শক্ত করে চাপ দিয়ে নরম গলায় বললাম বেশি করে দিয়ে দাও।
–নিমপাতা দেই? শুনেছি এটা বেশ উপকারি?
–আমি তার দিকে তাকিয়ে একটা সর্গসুখের হাসি দিয়ে বললাম,হলুদ, পিয়াজ,ধনিয়া, লবন,জিরা দিয়ে দাও একবারে ভাতের সাথে খাবোনে।
–রাগ করলা?
–না না, রাগ করবো কেন?
–এই শোন, রাতে কি খাবে আজ আমি রান্না করবো?
–কেন কাল বাজার করি নাই?
–আরে সেটা বলি নাই,বলছি আজ স্পেশাল রান্না করবো।
–(আর স্পেশাল খাইতে পারলে তো,মনে মনে বললাম) তা কি রান্না করবা?
–ভাবছি পটল,আলু আর লাউ দিয়ে পায়েস বানাবো।
–ভাবছিলাম একবার চেয়ার থেকে পরে যাবো, তারর কথা শুনে।একটু শান্ত হয়ে বললাম তা বাবুই লবন দিবা না?
–আর। গাধা লবন দিবো কেন? চিনি দিব চিনি।
–বাহ্,আমার বউ দেখি কেকা আফার চে একদাপ এগিয়ে।হে ভগবান আমি আরো কিছুদিন বাচতে চাই।আমার বউডারে একটু বুঝাও।
–এই কি হয়েছে তোমার, কি বলছো এসব? আচ্ছা শোন রাতের খাবার তো গেল,সকালে কি রান্না করবো যানো?
–আর বলতে হবে না,আমি বুঝে গেছি।
–তাই বুঝে গেছ? তা বলতো কি রান্না করবো?
–লবন আর সোডা দিয়ে এটমবোমা ভাজি তাই না বাবুই?
–না ঠিক তেমন না,তবে কাছাকাছি?
–মেয়ে বলে কি,কাছাকাছি। আমি এখনো কেমনে বেচেঁ আছি আমার তো বেহুশ হওয়ার কথা।
–কি হলো বাবু তুমি ঘামছো কেন?
–কেন সেটা তোমার সয্য হচ্ছে না বুঝি?
–আচ্ছা ফেন বন্ধ করে দেই?
–কেমুনডা লাগে এহন।
–রাগ করছো কেন?
–তা কি করবো?
–বুঝতে পারছি?
–কি?
–আমাকে আর তুমি ভালোবাস না?
–কেঠা কইছে?

–বলতে হবে আমি বুঝিনা?
–না, ভালোবাসি তো।
–দেখছো আমি ঠিক ধরতে পরছি?
–কি?
–ভালবাসি থেকে ভালবাসি তো
তে চলে গেছে।
–উফ্ফ, আচ্ছা ভালবাসি ভালবাসি
ভালবাসি এখন খুশি?
–এখন আমাকে খুশি করার জন্য এসব
বললা।তুমি আর আমাকে ভালোবাস
না।
–ভালবাসি বলেই তো সেদিন
বায়না করেছিলে চুড়ি আনতে
সেটা এনেছি।
–তুমি না চুড়ি পছন্দ করো না?
–হ্যা,
–তাহলে আনলে কেন?
–তুমি বললা তাই।
— আমি বললেই? আমার ইচ্ছার চেয়ে
তোমার পছন্দ অপছন্দই বড়? তুমি আর
আমাকে ভালোবাসো না

— মাথা গুলিয়ে যাচ্ছে বিশ্বাস
করো,তুমি আমায় ভুল বুঝতেসো আমি
গুছিয়ে বুঝাতে পারতেসি না

–আমি ভুল বুঝতেসি? হ্যাঁ, আমি ত
খারাপ আমিই সবসময় ভুল বুঝি

— উফফ আমি তোমাকে খারাপ
বুঝাতে চাইনি তুমি ত আমার
কলিজার টুকরা

— হ্যাঁ, টুকরাই ত তা তোমার
কলিজার বাকি টুকরাগুলার নাম
কি?
আমি ত শুধু টুকরামাত্র গোটা
কলিজা হবার মতো সুন্দরী না ত
আমি।
–উফ!আমি সেভাবে বলিনি!
–কিভাবে বলছো হুম!!
–কলিজার টুকরা বলতে সবটা
কলিজাই
বোঝাতে চাইছি আরকি!!
–অহ.এখন আমি বুঝিনা তাইতো
ঠিক
আছে আর কিছু বলতে হবে না।
–রাগ করেলা?
–না।
–তাইলে ঠিক আছে।
–কি ঠিক আছে?
–রাগ করো নাই।
–অ এখন অন্যজনকে পেয়ে গেছ
আমার রাগটাও তোমার পছন্দ হয় না।
–আরে না না,ঠিক তা না।
–আমি বুঝি তো।আমায় আর
ভালোবাস না।
–দেশবাসিই তো।
–মানে?
–না কিছুনা বলছি ভালবাসিই তো।
–আর বলতে হবে না।
–চড়ুই পাখি রাগ করে না?
–কি বললা তুমি? আমি কি?
–চড়ুই পাখি!!
–দুনিয়ায় এত দামিদামি পাখি
থাকতে আমায় চড়ুই বললা কেন হুম?
–আরে পাখি তো পাখিই!!আচ্ছা
তুমি
আমার ময়না পাখি এখন খুশি??
— এইবার বুঝসি কেন তুমি আমায় এখন
আর
ভালবাসো
না ময়না পাখি ত কালো
ইনডিরেক্টলি আমাকে
কালো বলতে চাচ্ছো তাইতো?
–উফফ, হে গড! আমারে উডায় নাও!
নাইলে দড়ি ফালাও, বায়া উডি
যাই!”
–কি বললা এটা?
–অফিস থেকে ফোন আসছে এক্ষনি
যেতে হবে।
–কি হইছে।
–জানিনা বস ফোন দিয়য়েছে?
–তা নাস্তা খেয়ে যাও?
–এখন না পরে।
চলে আসলাম যদিও এটা মিথ্যা ছিল
কি করবো বলেন।এমন প্যাচাল
পারলে আর কতক্ষন থাকা যায়, আমি শেষ হয়ে যেতাম।
যাইহোক এখন একটু রিল্যাক্স করি।
রাতে আবার পায়েস রান্না করবে
কপাল।

@@ এ.আর.এস @@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *