fbpx

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক ভোগান্তি শুরু ঈদ যাত্রীদের

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ।

রাজধানীবাসীর বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি প্রায় শেষ। তবে এখনো শেষ হয়নি সড়ক-মহাসড়কের সংস্কার কাজ। খানাখন্দ আর ছোট বড় গর্তে ভরা ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক ভোগান্তি বাড়াবে ঈদ যাত্রীদের। বিশেষ করে এই রুটে জুরাইনের অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। যানজটের সঙ্গে যাত্রীরা পড়বে চরম দুর্ভোগে। রাত কিংবা দিন। রৌদ্রজ্জ্বল দিন কিংবা বৃষ্টি, সবসময়ই ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের এই স্থানে তীব্র যানজট লেগে থাকে। দীর্ঘ হয় যাত্রীদের অপেক্ষার পালা!

যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার পার হয়ে পোস্তগোলা সেতুতে ওঠার রাস্তা মাত্র আধা কিলোমিটার। এতটুকু সড়ক পেরুতেই সময় লাগে দুই থেকে তিন-ঘণ্টা। যানজটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে ভোগান্তি। কখনও তা সহ্যের সীমা ছাড়ায়। এবার বর্ষায় হতে যাওয়া ঈদে, ঘরে ফেরা যাত্রীদের ভোগান্তির কারণ হবে জুরাইনের এই রেলগেট।ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, এইখানে ট্রাফিক কর্মকর্তাদের দেখা যায় না, যার ফলে সবাই যে যার মতো গাড়ি এখানে চালায়।

একে তো জুরাইনে ফ্লাইওভার নির্মাণের কারণে ছোট হয়ে এসেছে সড়ক। তার ওপর খানাখন্দে ভরা সড়কে বৃষ্টি হলে এক ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হয়। যাত্রীরা বলেন, বৃষ্টি হলে এইখানে এমন ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয় কেউ এখানে না আসলে বুঝবে না। গেলো ৪-৫ মাস ধরেই জুরাইনে এই অবস্থা।      তবে যাদের হাতে ঈদ যাত্রার স্বস্তি অস্বস্তি নির্ভর করছে সেই ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থাপনা নিয়েও আছে প্রশ্ন। তবে ট্রাফিক পুলিশের দাবি, এখানে রাস্তা ভাঙার জন্য কাজ করতে অনেক কষ্ট হয়, তবুও যানজট নিরসনে সবাই কাজ করছে।

এদিকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে চলছে চার লেনের নির্মাণ কাজ। এরিমধ্যে যে সামান্য অংশের কাজ শেষ হয়েছে তা ঈদ যাত্রায় কতটা যানজট কমাতে পারবে তা বলা কঠিন। ঈদ যাত্রায় দুর্ভোগ কমাতে আরও আগেই প্রস্তুতির দরকার ছিল বলে মনে করেন এই সড়ক বিশেষজ্ঞ।তবে দুর্ভোগ কমাতে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে দাবি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলামের।

তিনি বলেন, আমরা মনে করছি কয়েক দিনের মধ্যে এই কাজ শেষ হয়ে যাবে। ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট যদি কার্যকরভাবে আমার নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তাহলে যানজটের আশঙ্কা হবে বলে মনে হচ্ছে না।ঈদ যাত্রা নিরাপদ করতে মন্ত্রণালয় সবসময় সড়ক মহাসড়কের দিকে কঠোর নজর রাখছে বলেও জানান সচিব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *