fbpx

ড্রিপেশন বা বিষণ্ণতা সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা

ড্রিপেশন বা বিষণ্ণতা এমন একটা অসুখ, যেটাকে অনেকেই তেমন কোনো গুরুত্ব দেন না৷

ডিপ্রেশন সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা থাকার কারণেই এমনটা ভাবেন তারা৷ অনেক সময় এটিকে গুরুত্ব না দেয়ার কারণে ভয়ানক ঘটনা ঘটে থাকে। আমরা সাধারণত বিষণ্ণতা নিয়ে যেসব ভুল ধারণা পোষণ করি তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডয়চে ভেলে। জেনে নেইই সেইসব ভুল ধারণাগুলো।

বিষণ্ণতা কোনো অসুখই নয়

বেশিরভাগ মানুষেরই ধারণা, বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন কোনো অসুখই নয়৷ এটা একটা ভুল ধারণা, কারণ যারা বিষণ্ণতায় ভোগেন তাদের চিকিৎসা প্রয়োজন৷ আর যথাযথ চিকিৎসা না হলে একসময় এর দ্বারা ভয়ানক ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

নিজে থেকে ভালো হয়ে যাবে

নিজে থেকে ক’দিন পরেই বিষণ্ণতা কেটে যাবে– এমন ধারণা অনেকেরই। যা ভুল৷ তবে বিষণ্ণতা যদি দু-তিন সপ্তাহের বেশি থাকে, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত৷ তখন ডাক্তারই বুঝবেন রোগীকে কোনো বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠাতে হবে কি না৷

হাসিখুশি পরিবেশে গেলেই ঠিক হয়ে যাবে

হাসিখুশি পরিবেশে গেলেই বিষণ্ণতা ঠিক হয়ে যাবে– এই ধারণাটিও ভুল৷ ভিন্ন পরিবেশে সাময়িকভাবে হয়ত বিষণ্ণতা কিছুটা কাটে, তবে রোগী সুস্থ হন না৷ তাই কারো ডিপ্রেশন হলে তা মনের ভেতর রেখে একা একা কষ্ট না পেয়ে পরিবার এবং কাছের মানুষদের সাথে আলোচনা করা উচিত৷

বিষণ্ণতা শুধু হৃদয়ের অসুখ

এ ধারণাও সম্পূর্ণ ভুল৷ কারণ ডিপ্রশনের রোগীদের মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, কোমর ব্যথা, কানের ভেতরে শব্দ হওয়া, পেটের সমস্যা হতে পারে৷ অবশ্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যেটা হয়, সেটা হলো ক্লান্তি, মন খারাপ, কোনো কিছুতে আগ্রহ বা ইচ্ছা না থাকা বা হতাশ হওয়া৷ এছাড়াও বিষণ্ণতায় ভোগেন যারা, তারা অন্যের সমস্যার কারণগুলোও নিজের মধ্যে খুঁজে বেড়ান৷

বিষণ্ণতার কথা ‘না’ জানালে কেউ বুঝবে না

এটাও একটি ভুল ধারণা৷ বিষণ্ণ রোগীর আচরণ দেখে প্রথমে হয়ত কেউ বোঝেন না– এ কথা ঠিক হলেও বুঝতে কিন্তু খুব বেশি সময় লাগে না৷ বরং এই অসুখ অন্যদের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখলে রোগী এবং পরিবার দু’তরফেরই ক্ষতিই হয়৷ তাই লজ্জা বা ভয় না পেয়ে অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করলে উপকার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *