fbpx

গ্রিজমানদের গোলে ইউরোপা লিগের শিরোপা এখন অ্যাটলেটিকোর

এই মৌসুমে অ্যাটলেটিকোর ঝুলিতে বলার মতো অর্জন কিছুই ছিল না।

ইউরোপের দ্বিতীয় ধাপের টুর্নামেন্ট হলেও ইউরোপা লিগের শিরোপাটি উদ্‌যাপনের উপলক্ষ এনে দিয়েছে গ্রিজমানদের।

ফ্রান্সের লিওঁতে মার্শেইয়ের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ে শিরোপা অর্জনের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছেড়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। কানায় কানায় পূর্ণ ছিল গ্যালারি। দর্শকদের উল্লাস উদ্দীপনাও ছিল চোখে পড়ার মতো।

আতশবাজির আলো আর ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছিল মাঠ। এক সময় নামে ঝুম বৃষ্টি। হয়তো মার্শেই সমর্থকদের বুকে জমে থাকা কান্না বৃষ্টি হয়ে নেমেছে তখন। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল মার্শেই। পুরো ম্যাচে ৫৭ শতাংশ সময়ে মার্শেইয়ের খেলোয়াড়দের পায়েই বল ছিল।

কিন্তু ম্যাচের ২১তম মিনিটে রক্ষণের সামান্য ভুলে গোল করেন গ্রিজমান। সতীর্থ খেলোয়াড়ের পাস ঠিকমতো নিতে পারেননি মার্শেইয়ের মিডফিল্ডার জাম্বো অ্যাঙ্গুইসা। বল পেয়ে যান অ্যাটলেটিকোর গেবে। গেবে পাস দেন ফরোয়ার্ড গ্রিজমানকে।

গোলরক্ষককে একা পেয়ে বল জালে জড়াতে কোনো সমস্যা হয়নি ফরাসি তারকা গ্রিজমানের (১-০)। এরপর প্রথমার্ধে কোনো দলই আর গোলমুখ খুলতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের ৪৯তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে জয় প্রায় নিশ্চিত করে অ্যাটলেটিকো। এবারও গ্রিজমান।

সতীর্থ কোকের পাস থেকে ক্লিনিক্যাল ফিনিশ করেন গ্রিজমান (২-০)। এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতায় গ্রিজমানের ২৯তম গোল এটি। ৫৩তম মিনিটে গ্রিজমানের শট গোলপোস্টে আটকে গেলে স্কোরলাইন আর বাড়েনি। এরপর পুরো খেলা আক্রমণ পাল্টা-আক্রমণে চলে। মার্শেই গোল পরিশোধের চেষ্টায় বেশ কয়েকবার আক্রমণ চালিয়েও ব্যর্থ হয়। ৮১তম মিনিটে গোল ব্যবধান কমানোর ভালো সুযোগও হারায় মার্শেই।

উল্টো ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে শেষ বাঁশি বাজার যখন কিছু মুহূর্ত বাকি। তখন মার্শেইয়ের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকেন গেবে। ডি বক্সের মধ্যে কোকের পাস থেকে কোনাকুনি শটে গোল করেন গেবে। তৃতীয়বারের মতো ইউরোপা লিগের শিরোপা জেতে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *