খুলনায় ভোট গ্রহন শুরু
মেয়র এবং ৪১ জন কাউন্সিলর নির্বাচনে খুলনায় শুরু হয়েছে ভোটের লড়াই। সকাল আটটায় শুরু হওয়া এই ভোট চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত। ভোটকে ঘিরে নির্বাচনী এলাকায় বিরাজ করছে উৎসাহ উদ্দীপনা।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার পরই বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারের সারি দেখা যায়। তার আগেই কেন্দ্রে চলে যান নির্বাচনী কর্মকর্তারা। আগের দিন বিকালের মধ্যেই কেন্দ্রে পাঠানো হয় ভোটের সামগ্রী।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও এই ভোটকে কেন্দ্র করে সারা দেশেই আগ্রহ তৈরি হয়েছে। দলীয় প্রথীকে নৌকা ও ধানের শীষের এই লড়াই দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জনপ্রিয়তা প্রমাণের একটি সুযোগ।
নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ জন প্রার্থী রয়েছেন। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক নৌকা, বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু ধানের শীষ, ইসলামী আন্দোলনের মুজ্জাম্মিল হক হাত পাখা, সিপিবির মিজানুর রহমান বাবু কাস্তে ও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।
আওয়ামী লীগের খালেক নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডে পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে এবং বিএনপির মঞ্জু ভোট দেবেন ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের রহিমা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
নির্বাচনে ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ড, ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ভোটকেন্দ্র ২৮৯টি। মোট ভোটকক্ষ এক হাজার ৫৬১টি।
এর মধ্যে দুটি কেন্দেও্রর ১০টি ভোটকক্ষে ভোট নেয়া হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে।
এবার মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ জন আর নারী ভোটার দুই লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন।
নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ জন ছাড়াও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৫ জনসহ মোট ১৯১ জন প্রার্থী লড়াই করছেন।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খুলনায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৩ মে থেকে খুলনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন শুরু হয়। তারা থাকবে ১৬ মে পর্যন্ত। পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার-ভিডিপি, ব্যাটালিয়ন আনসারসহ নিয়মিত বাহিনীর সদস্যরা ভোটের নিরাপত্তায় কাজ করবেন।
প্রতিটি সাধারণ কেন্দে ২২ (বাইশ) জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ (চব্বিশ) জন করে নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রতি ওয়ার্ডে পুলিশের মোবাইল ফোর্স এবং প্রতি তিন ওয়ার্ডের জন্য একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রতিটি ওয়ার্ডে র্যাবের একটি করে দল টহল দিচ্ছে। মোতায়েন আছে ১৬ প্লাটুন বিজিবি।
৬০ জন নির্বাহী এবং ১০ জন বিচারিক হাকিম নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হচ্ছে, যেখান থেকে সার্বক্ষণিক নির্বাচনী এলাকার সাথে যোগাযোগ এবং নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
আজ গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সীমানা জটিলতা নিয়ে করা রিট আবেদনে ঝুলে গেছে সে ভোট। আগামী ২৬ জুন ভোটের নতুন তারিখ নির্ধারণ হয়েছে।
২০১৩ সালে খুলনায় শেষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেককে ৬০ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন বিএনপির মনিরুজ্জামান মনি।