fbpx

কর্মস্থলে ১ মিনিট দেরি, মন্ত্রীর পদত্যাগ!

কর্মস্থলে ১ মিনিট দেরি, মন্ত্রীর পদত্যাগ!

যে কেউ অফিসে যেতে দেরি করলে সাধারণত ক্ষমা চেয়েই ক্ষ্যান্ত থাকেন। কিন্তু, ব্রিটেনের একজন লর্ডের কাছে শুধু ‘সরি’ বলাটা যথেষ্ট মনে হয়নি।

বুধবার ৬০ সেকেন্ডেরও কম সময় দেরি করে অফিসে ঢোকায় লর্ড মাইকেল বেটস (বিনা বেতনের মন্ত্রী) দারুণ অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। শুধু তাই নয়, পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে হাউজ অফ লর্ডস ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি।

লর্ড বেটস তার সতীর্থদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি যথা সময়ে আমার জায়গায় উপস্থিত হয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বের শুরুতে ব্যারনেস লিস্টারের প্রশ্নের জবাব না দিয়ে অশোভন আচরণ করায় আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি যে পাঁচ বছর সরকারের পক্ষে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেয়ার সুযোগ পাওয়ায় কৃতজ্ঞ। আমি সব সময়ই বিশ্বাস করেছি সরকারের পক্ষে আইনপ্রণেতাদের প্রশ্নের জবাব দিতে আমাদের উচিত সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করা। আমি আমার জায়গায় উপস্থিত থাকতে না পারায় প্রচণ্ড লজ্জিত এবং এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার পদত্যাগের আবেদন করছি।’

এই বলে বেটস তার জিনিসপত্র গুছিয়ে দ্রুত চেম্বার থেকে বেরিয়ে যান। ক্ষমা প্রার্থনা মুহূর্তের মধ্যে পদত্যাগে পরিণত হওয়ায় স্তম্ভিত হয়ে যান বেটসের সহকর্মীরা।

নাটকীয় ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অনেক রাজনীতিক বেটসের সিদ্ধান্তে ‘না’ বলছেন। আবার অনেকেই অবিশ্বাসের হাসি হাসছেন। কয়েকজন তাকে আবার চেম্বারে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন।

বেটসের পদত্যাগের পর ব্যারনেস স্মিথ বলেন, ‘লর্ড বেটসের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনাই যথেষ্ট ছিল। এটা একটা তুচ্ছ অসৌজন্যতা, যার জন্য আমাদের মধ্যে যে কেউ বিভিন্ন সময়ে দোষী সাব্যস্ত হতে পারেন।’

গার্ডিয়ান পত্রিকাকে ব্যারনেস লিস্টার জানান, তিনি বেটসকে তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলেছেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র একজন মুখপাত্র ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছেন, ‘প্রথাসিদ্ধ আন্তরিকতা দেখিয়ে লর্ড বেটস পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু, তার পদত্যাগের আবেদন অনাবশ্যক মনে হওয়ায় তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *