এসএসসি পরীক্ষা শুরু আজ …..
প্রায় সাড়ে তিন হাজার কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হলেও প্রশ্ন ফাঁস হওয়া আটকাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষার্থীদের সাড়ে ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে হাজির হয়ে যার যার আসনে বসতে হয়েছে।
প্রথম দিন এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্র, সহজ বাংলা প্রথমপত্র এবং বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংষ্কৃতি বিষয়ের পরীক্ষা চলছে।
মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনালে বাংলা-২ (১৯২১) বিষয়ের পরীক্ষা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে সরকারি ল্যাবরেটরি বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে পরিদর্শনে যান।
এসএসসি ও সমামানের পরীক্ষায় গতবছর পরীক্ষার্থী ছিল ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন। আর এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৯ জন শিক্ষার্থী। সেই হিসেবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে দুই লাখ ৪৫ হাজার ২৮৬ জন।
আট সাধারণ বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি চলবে তত্ত্বীয় পরীক্ষা। ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত।
সারা দেশে ৩ হাজার ৪১২টি কেন্দ্রে এবারের মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা হচ্ছে।
এবার আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১৬ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৮ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে দুই লাখ ৮৯ হাজার ৭৫২ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনালে এক লাখ ১৪ হাজার ৭৬৯ জন পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেছে।
পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১০ লাখ ২৩ হাজার ২১২ জন ছাত্র; ছাত্রীর সংখ্যা ১০ লাখ ৮ হাজার ৬৮৭ জন।
বিদেশের আটটি কেন্দ্রে এবার ৪৫৮জন পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে।
কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল বা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। কেন্দ্র সচিবকেও এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে হবে, যা দিয়ে ছবি তোলা যায় না।
কেন্দ্র সচিবের অনুমতি ছাড়া পরীক্ষার্থীর বাইরে অন্য কেউ কেন্দ্রের সীমানায় প্রবেশ করতে পারবেন না।
এবার মাধ্যমিকে সব বোর্ডের পরীক্ষা হচ্ছে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে। বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে এবার শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে না শিক্ষার্থীদের। ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কেন্দ্রে পাঠাবে। কেন্দ্রে তার সঙ্গে ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর যোগ করে পাঠানো হবে বোর্ডে।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এ ধরনের প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে।
অটিস্টিক ও ডাউন সিনড্রোম প্রতিবন্ধীরা অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় পাবে এবং শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দিতে পারবে।