fbpx

একটি বাসায় একই পরিবারের ১১’জন সদস্যকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে

ভারতের রাজধানী দিল্লীতে একটি বাসায় একই পরিবারের ১১’জন সদস্যকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

মৃতদের মধ্যে দশজনকেই ঘরের ছাদ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়, আর ৭০ এর কোঠায় থাকা এক বৃদ্ধা মৃত অবস্থায় মাটিতে পড়ে ছিলেন।মৃতদের অধিকাংশেরই হাত পেছনে বাঁধা ছিল ও মুখ আটকানো ছিল। মৃত্যুর কারণ কী হতে পারে তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ হত্যার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না।

তবে পুলিশের একটি বিবৃতিতে তারা বলেছে যে পরিবারের সদস্যরা ‘রহস্যময় রীতিনীতি’ পালন করতেন বলে তাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে।পুলিশের পূর্ণ বিবৃতিতে ঐ ঘরে পাওয়া হাতে লেখা কয়েকটি কাগজের কথা উল্লেখ করা হয়। সেসব কাগজে পরিবারের সদস্যদের ‘আধ্যাত্মিক ও রহস্যময় রীতিনীতি’ পালনের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলেও উল্লেখ করা হয় ঐ বিবৃতিতে। আর এর সাথে তাদের মৃত্যুর সম্পর্ক আছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এবং এ এলাকার ক্রোজ সার্কিট ক্যামেরার ভিডিওচিত্র দেখার পর সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।সংবাদ সংস্থা এএফপি’কে একজন পুলিশ বলেন মূল ঘটনা এত দ্রুত জানা সম্ভব নয়।দিল্লির বুরারি জেলায় ২০ বছরেরও বেশী সময় ধরে বাস করছিল ঐ পরিবারটি। তাদের আদিবাড়ি রাজস্থানে। তিন তলা একটি বাসার নিচের তলায় তারা দু’টি দোকান পরিচালনা করত।

রবিবার সকালে একজন প্রতিবেশী সেখানে দুধ কিনতে গেলে মৃতদেহগুলো খুঁজে পায়।গুরচরন সিং, যিনি দেহগুলো প্রথম দেখতে পান, বিবিসি হিন্দিকে বলেন, “আমি যখন দোকানে ঢুকি তখন সবগুলো দেহ ছাদ থেকে ঝুলছিল আর তাদের হাত পেছন দিকে বাঁধা ছিল।”ধারণা করা হচ্ছে মৃতদের মধ্যে দুই ভাই, তাদের স্ত্রী ও সন্তানরা ছিল।

পরিবারের পোষা কুকুরটিকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা ও পরিবারের আত্মীয়রা জানায় পরিবারটি স্বাভাবিক একটি সুখী পরিবার ছিল। স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাথে সুসম্পর্কও ছিল তাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *