fbpx

আগামী সপ্তাহ থেকে ফোর–জি সেবা চালু

মোবাইল ইন্টারনেটে দ্রুতগতির সেবায় ফোর-জি সর্বশেষ প্রযুক্তি। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচলিত থ্রি-জির এটি পরের ধাপ। বাণিজ্যিকভাবে প্রথম এই সেবা চালু হয় ২০০৯ সালে; নরওয়ে ও সুইডেনে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ প্রায় সব উন্নয়নশীল দেশেই ফোর-জি সেবা চালু আছে। বাংলাদেশে সে হিসেবে এটি বেশ পরেই এল।

দেশে ফোর-জি সেবা চালু করবে গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা, বাংলালিংক ও সরকারের মালিকানাধীন টেলিটক। সবাই এ নিয়ে নিজেদের প্রস্তুতি গুছিয়ে এনেছে। আজ ফোর-জি সেবার বেতার তরঙ্গ নিলামের আয়োজন করেছে বিটিআরসি। গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক তাতে অংশ নেবে। ফোর-জির জন্য রবি ও টেলিটকের কাছে যথেষ্ট তরঙ্গ থাকায় তারা নিলামে অংশ নেবে না। নিলামের পরে ফোর-জি চালুর জন্য সময় থাকবে এক সপ্তাহ। সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছে, সব কাজ সেরে গ্রাহক পর্যায়ে ঢাকাসহ দেশের বড় বিভাগীয় শহরগুলোতে সেবাটি সময়মতো চালু করা যাবে। বিটিআরসির ফোর-জি নীতিমালা অনুযায়ী, লাইসেন্স পাওয়ার দেড় বছরের মধ্যে দেশের সব জেলা শহরে সেবাটি চালু করতে হবে; তিন বছরের মধ্যে সব উপজেলায়।

টেলিযোগাযোগবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান লার্ন এশিয়ার জ্যেষ্ঠ গবেষক আবু সাইদ খান বলেছেন, ভারত-পাকিস্তান তো বটেই, বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে থাকা মিয়ানমারেও বহু আগে ফোর-জি সেবা চালু হয়েছে। মিয়ানমারের মতো টেলিযোগাযোগ সেবা পাওয়ার আশা বাংলাদেশের গ্রাহকেরা করতেই পারেন।

মোবাইল ফোন অপারেটররা আরও বলেছে, ফোর-জি প্রযুক্তি উন্নত ও সাশ্রয়ী বলে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচও কম হবে। তবে এই প্রযুক্তির উপযোগী মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোনের স্বল্পতা এ সেবা প্রসারে বড় বাধা। অপারেটরদের হিসাবে বাংলাদেশে মোট মোবাইল ফোনসেটের ৩০ শতাংশ স্মার্টফোন। এর মধ্যে ফোর-জি প্রযুক্তির স্মার্টফোন ১০ শতাংশের কম।

বিটিআরসির হিসাবে, বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮ কোটির বেশি। মোবাইলে এর সংখ্যা সাড়ে ৭ কোটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *